২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু-শনাক্ত কমেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) মহামারিতে বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। ঘাতক এ ভাইরাসে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটলেও মহামারি প্রতিরোধে সারাবিশ্বে টিকার প্রয়োগ হলে কিছুটা কমে করোনার তাণ্ডব। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৮ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন লাখ ৫০ হাজার ৮৯৭ জন।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় করোনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগের দিন চার লাখ ১৬ হাজার ৭৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর ছয় হাজার ৭৬৪ জনের মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ পাঁচ হাজার ৩৮৪ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪২ জন। এর মধ্যে মহামারি থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৫৯ লাখ তিন হাজার ৬৮৫ জন।

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২৯ লাখ ৯০৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২৫ লাখ তিন হাজার ৯৯৫ জন।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮১৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৫ হাজার ১৬৫ জন। আর তিন কোটি ২৭ লাখ সাত হাজার ৫৮৯ জন সেরে উঠেছেন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৬ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার ২৯৪ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ২২৫ জন। আর ১৫ লাখ এক হাজার ৫৪১ জন সুস্থ হয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।

এআরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।