করোনার ট্যাবলেট কিনতে তোড়জোড় থাইল্যান্ডের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২১

করোনা (কোভিড-১৯) ঠেকাতে শিগগিরই বাজারে আসছে ট্যাবলেট। মেরেক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের মুখে খাওয়া মোলনুপিরাভির ওষুধ হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে আনবে, এমন আভাস দিয়েছেন গবেষকরা। ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী অবস্থায় এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিভিন্ন দেশ। এবার থাইল্যান্ড দুই লাখ কোর্স ট্যাবলেট কেনার জন্য আলোচনা করছে। থাইল্যান্ডের এক কর্মকর্তা স্থানীয় সময় সোমবার (১০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর টিকা রাজনীতির কারণে চিকিৎসাসেবা স্থবির হয়ে যাওয়ায়, থাইল্যান্ডের মতো এশিয়ার অনেক দেশ ট্যাবলেট কেনার জন্য যোগাযোগ বাড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, এবং মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, তারা ট্যাবলেট কেনার জন্য মেরেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এদিকে, ফিলিপাইনে এরই মধ্যে ট্রায়াল চলছে ট্যাবলেটটির। ফলে তারা আশাবাদী দেশেই গবেষণা করে ভালো কিছু করার।

jagonews24

সবকটি দেশই ট্যাবলেট কেনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগ্রহী নয়। তবে থাইল্যান্ডের চিকিৎসাবিভাগের প্রধান সোমস্যাক আকসিল্প রয়টার্সকে জানিয়েছেন, করোনা রোধে মোলনুপিরাভির ওষুধটি কিনতে থাইল্যান্ড চুক্তির জন্য কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, আমরা কোম্পানি মেরেকের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি চলতি সপ্তাহে সম্পন্ন করার আশা করছি। আমরা আগেই দুই লাখ কোর্সের জন্য বুকিং দিয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষের উদ্ভাবিত এ ট্যাবলেট সম্ভবত করোনার মুখে খাওয়া ওষুধের প্রথম হিসেবে স্বীকৃতি পাবে যদি দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) অনুমোদন দেয়।

jagonews24

সম্প্রতি গবেষকরা দাবি করেন, এটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে ভালো ফল দেখিয়েছে। মেরেক ও রিজব্যাক কর্তৃপক্ষ যত শিগগিরই সম্ভব এফডিএ-র সঙ্গে কথা বলবে। মেরেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রব ডেভিস এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা পরিকল্পনা করছি অন্য দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুমোদনের জন্য।

ডেভিস বলেন, আমরা ট্রায়ালে ভালো ফল পেয়েছি। আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে না, বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে। মোলনুপিরাভির হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে যাদের পাঁচ বা তার কম দিনের জন্য উপসর্গ রয়েছেন এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। আগামী নভেম্বরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডেভিস।

সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি

এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।