ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলন স্থগিত
আগামী সপ্তাহে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওমিক্রন নামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায় সম্মেলন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে ডব্লিউটিও।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারা জানিয়েছে, করোনার অন্য সংক্রামক ধরনগুলোর তুলনায় নতুনটিতে পুনঃআক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সে কারণে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার শেষ মুহূর্তে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলন বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। গত চার বছরের মধ্যে এবার সংস্থাটির সবচেয়ে বড় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। জেনেভায় চারদিনের এই সমাবেশ নেতিয়ে পড়া সংগঠনটিতে নতুন প্রাণ দেবে বলে আশা করেছিল ডব্লিউটিও। মৎস্য ভর্তুকির মতো বিভিন্ন সমস্যা যেগুলো বছরের পর বছর আটকে আছে সেগুলোর সমাধানে অগ্রগতি ঘটবে বলে এই সম্মেলন বেশ গুরুত্ব বহন করছিল।
ডব্লিউটিএর নতুন মহাপরিচালক নোজি ওকোনজো-ইওয়েল নিজেও আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, প্রতিকূলতার বিপরীতে তারা ভালো কিছু করতে পারবেন। এমনকি কোভিড ভ্যাকসিনের পেটেন্ট তুলে নেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তির অগ্রগতি হবে যা মহামারি মোকাবিলায় ডব্লিউটিওর প্রাসঙ্গিক ভূমিকাকে প্রমাণ করবে।
কিন্তু সম্মেলন শুরুর মাত্র চারদিন আগেই তা স্থগিত করা হলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার নতুন এই ধরনকে উদ্বেগজনক ঘোষণা করার পরই ডব্লিউটিও এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে, নতুন এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইতোমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিভিন্ন দেশ ফ্লাইট বাতিল করেছে। গত ৯ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
ডব্লিউটিএর মহাপরিচালক নোজি ওকোনজো-ইওয়েল বলেন, দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া খুব সহজ বিষয় ছিল না। কিন্তু সংস্থার মহাপরিচালক হিসেবে সব অংশগ্রহণকারী, মন্ত্রী, প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাই আমার কাছে প্রধান অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
বি.১.১৫২৯ ধরনটিকে গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে ওমিক্রন নাম দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত টিকা এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর সেটাই এখন পরীক্ষা করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়ার পর বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল এবং হংকংয়েও এর দেখা মিলেছে। নতুন ধরন শনাক্তের খবর ছড়ানোর পরপরই বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
টিটিএন/এএসএম