ভারতে আরও দুইজনের ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
ছবি : সংগৃহীত

ভারতে আরও দুই ব্যক্তির করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে। তাদের একজন মহারাষ্ট্রের ও অন্যজন গুজরাটের বাসিন্দা। তারা সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে থেকে এসেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে নতুন ধরন শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে। এনটিভির পৃথক দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

এনটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্বাবুয়ে থেকে গুজরাটে আসা ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার বিপজ্জনক ধরন ‘ওমিক্রন’ ধরা পড়েছে। জামনগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির গত বৃহস্পতিবার করোনা শনাক্ত হয়। করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার পর তার নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়।

সংক্রমিত ব্যক্তি জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে আসার পর যেখানে যেখানে অবস্থান করেছেন, সেটিকে একটি ছোট আকারের সংক্রমণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুজরাটের কর্মকর্তারা এখন তার সংস্পর্শে আসা মানুষকে চিহ্নিত ও পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করছেন।

গুজরাটের স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি মনোজ আগারওয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রেখেছি ও তার ওপর নজর রেখেছি। তিনি যেখানে থাকছেন, সেই এলাকাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত করা হয়েছে। সেখানকার লোকজনকে চিহ্নিত করে পরীক্ষার আওতায় আনার কাজ চলমান।’

সরকারি নোটের বরাত দিয়ে এনডিটিভির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত অপর ব্যক্তি গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন। তিনি দুবাই-দিল্লি হয়ে মুম্বাইয়ে আসেন। তিনি মহারাষ্ট্রের কল্যাণ-ডম্বিভ্যালি পৌর এলাকার বাসিন্দা এবং করোনার কোনো টিকা নেননি।

গত ২৪ নভেম্বর মুম্বাইয়ে আসার পর তার হালকা জ্বর হয়। এছাড়া তার মধ্যে অন্য কোনো উপসর্গ ছিল না। তাকে কল্যাণ-ডম্বিভ্যালির করোনা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও নোটে উল্লেখ করা হয়।

ওই যাত্রীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন ও ২৩ জন অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিসম্পন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় তাদের কেউ এখন পর্যন্ত ভাইরাসে সংক্রমিত হননি। এছাড়া দিল্লি-মুম্বাই ফ্লাইটের ২৫ জন যাত্রীও করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন। এর বাইরে অন্য কেউ তার সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না সেটা জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে, ভারতে আরও দুইজনের ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়। তাদের একজন বেঙ্গালুরুর ৪৬ বছর বয়সী চিকিৎসক। তিনি করোনার দুই ডোজ টিকাই নিয়েছিলেন। তার জ্বর ও শরীরে ব্যথার উপসর্গ ছিল।

এআরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।