‘ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বুস্টার ডোজ কার্যকর’
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার বুস্টার ডোজ কার্যকর বলে জানিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব গবেষণার তথ্য উদ্ধৃত করে তারা এ তথ্য জানায়। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়ে। বিশেষ করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অথবা প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ হওয়ার পরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তার চেয়ে বেশি।
কোম্পানিটি জানায়, ডেল্টার বিরুদ্ধে দুই ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার পর যে রকম সুবিধা পাওয়া যেত ওমিক্রনের বিরুদ্ধে তিন ডোজ দিলে একই সুবিধা পাওয়া যাবে।
এর আগে যুক্তরাজ্যে হওয়া দুটি গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ওমিক্রন ধরনটি ডেল্টার চেয়ে হালকা হতে পারে। তবে ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও ভ্যাকসিন এড়াতে বেশি সক্ষম।
ইউরোপ এবং আমেরিকায় ওমিক্রনের ঢেউ শুরু হয়েছে। করোনার নতুন এই ধরন নিয়ে সারা বিশ্বেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনই হয়তো এ নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু প্রাথমিক গবেষণা বলছে, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন কিছুটা কম গুরুতর।
প্রাথমিক কিছু গবেষণা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম। ৩০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কম গুরুতর হলেও অতি সংক্রামক হওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে।
গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩৮টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হলেও এতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
এমএসএম/জেআইএম