পৌরসভা নির্বাচন : চকরিয়ায় বড় দুটি দলের প্রার্থীরা মহাব্যস্ত


প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চলতি মাসেই ঘোষণা হতে পারে তফসিল। এমনি আভাস পাওয়া যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু এরও আগে থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভায় নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এ নিয়ে শুরু করেছে দৌঁড়ঝাপ। ইতোমধ্যে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী একাধিক নেতা ভোটের মাঠে নামছেন এমন সরব আলোচনা চলছে পৌরসভার অলিগলিতে।

অনেকে ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টার ছাপিয়ে নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে জানান দেয়ায় তাদের অতীত-বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়েই চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন নির্বাচন বোদ্ধারা। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের রীতি চালু হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি থেকেও মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে একাধিক নেতার নাম লোকমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে আগে থেকে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় এমনটি মনে করছেন সবাই। তবে এখনো দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি। ইতোমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে অন্তত ১৪ জন ও বিএনপির ৭ জন প্রার্থী জোর লবিংয়ে রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত এক সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র মতে, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নানা ভাবে মাঠে রয়েছেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্রমিক নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্যানেল মেয়র জাহেদুল ইসলাম লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নুরুল আবছার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আলম কমিশনার ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়ালিদ মিল্টন।

ইতোমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জামাল উদ্দিন জয়নাল।

অপরদিকে নতুন বছরের প্রথমদিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আতিক উদ্দিন চৌধুরী। তারপর আলোচনায় আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শিল্পপতি শফিউল আলম বাহার ওরফে দুবাই আলম। তিনি মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এরপর মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নতুন করে যুক্ত হন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির।

চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতির দুই বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির ইতোমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন। আবেদনে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক যেসব কাজে সম্পৃক্ত আছেন তা তুলে ধরেছেন। এছাড়াও অনেকের নাম পৌরবাসীর মাঝে উচ্চারিত হচ্ছে।

তারা হলেন, চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক একেএম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের প্রাক্তণ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সাহাব উদ্দিন মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হক। এইসব প্রার্থীরা তৃণমূল ভোটারদের মন জয়ের আশায় নানা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা ও উপজেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।