আদানিকে ‘আদার ব্যাপারী’ বললেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ধৃমল দত্ত, কলকাতা:

আদানি-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নিশানায় এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেন, আদার ব্যাপারীদের ঘরে সব চলে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাওড়া জেলার পাঁচলায় আয়োজিত জনসভায় সরাসরি নাম উল্লেখ না করে কিছুদিন আগেও বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী থাকা গৌতম আদানিকে ‘আদার ব্যাপারী’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

ভাষণে জনগণের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, আপনারা টাকা কোথায় রাখেন? জীবন বিমায় অনেকের বীমা রয়েছে। হাউসিং লোন রয়েছে। আপনাদের টাকা ব্যাংকে রয়েছে। সেই টাকাগুলো কোথায় যাচ্ছে? আদার ব্যাপারীদের ঘরে চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন>> আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পে স্থগিতাদেশের শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি

তিনি বলেন, যে কোনোদিন কেন্দ্রীয় সরকার বলবে, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এলআইসি) জীবন বিমা উঠিয়ে দাও। ব্যাংক-পোস্ট অফিস উঠিয়ে দাও। তো মানুষ যাবে কোথায়? সব উঠিয়ে দিলে খাবে কী? এমন একটা কেন্দ্রীয় সরকার চলছে, যার মুখে শুধু বড় বড় ভাষণ।

মোদী সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে মমতা বলেন, আদার ব্যাপারীরা আজ দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। চার দিন আগেও সরকার পড়ে যাচ্ছিল, এখন টিমটিম করে জ্বলছে। একে ওকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়েছিল। তারপর সরকার টেকে।

আরও পড়ুন>> আদানির সঙ্গে চুক্তি সংশোধন চায় বাংলাদেশ, ভারত বললো ‘জড়িত নই’

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেদিন এলআইসি নিভে যাবে, স্টেট ব্যাংকে যে টাকা রেখেছেন, তা ডুবে যাবে, তখন কি টাকা ফেরত পাবেন? কেন্দ্রীয় সরকার এখন টিমটিম করে জ্বলছে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে এনে মমতা বলেন, গরিব লোকের টাকা মারবে কেন্দ্র। টাকা ফেরত দেন। ১০ লাখ জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছে রাজ্যর পয়সা থেকে। আবাস যোজনা, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেয় না কেন্দ্র। রেশন নিয়ে ফুড সাবসিডিও কেটে দিয়েছে।

আরও পড়ুন>> বাজেটে বঞ্চিত বেকার-দরিদ্ররা: মমতা

এদিন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) থেকে রাজ্যের অংশ সরকারকে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।