বিমানে জৈব জ্বালানি
এই প্রথম জৈব জ্বালানিকে বিমানে ব্যবহার করা শুরু হলো। ২ ডিসেম্বর বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ার ক্রাফট তাদের ৭৮৭ বিমানে পরিক্ষামূলক জৈব জ্বালানির ব্যবহার শুরু করেছে। সংস্থাটি তাদের বিমানের পেট্রোল জ্বালানির সাথে ১৫% হারে জৈব জ্বালানি মিশিয়ে এই বিমানটি চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিমান সংস্থাগুলোকে নিয়ে গঠিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বা আইএটিএ ভবিষ্যতে জৈব জ্বালানি দিয়ে বিমান চালানোর কথা ভাবছে। বর্তমানে বিমানে ব্যবহারের উপযোগী জৈব জ্বালানি ব্যয়বহুল এবং বিশ্বের সব স্থানে তা পাওয়া যায় না।
এক টন জেট কেরোসিন বা বিমান ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি পোড়ালে যে পরিমাণ ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণ ঘটে তার চেয়ে ৮০ শতাংশ কম কার্বনের নিঃসরণ ঘটে সমপরিমাণ জৈব জ্বালানি থেকে।
জৈব জ্বালানির চড়া মূল্য এবং সরবরাহে ঘাটতি থাকায় এখনই বিমান শিল্পের পক্ষে ব্যাপকভাবে জৈব জ্বালানির ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়া সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থার আশা, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ছয় শতাংশ বিমানে জৈব জ্বালানি দিয়ে বিমান চালানো সম্ভব হবে।