বছরের প্রথম দিনেই বড় সাফল্য

মহাকাশে পাড়ি দিলো ভারতের নতুন স্যাটেলাইট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৪
ছবি সংগৃহীত

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিলো ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট। এটি ভারতের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যা বিশ্বে দ্বিতীয়। এ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ এর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে শুধুমাত্র নাসা।

মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। এছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ ‘এক্সপোস্যাটের’ তালিকায় রয়েছে। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলোকেও এই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অধ্যয়ন করবেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: যানজট এড়াতে লোকাল ট্রেনে ভারতীয় ধনকুবের, ভিডিও ভাইরাল

বছরের প্রথম দিনটিকেই এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সোমবার (১ জানুয়ারি) ঠিক সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্‌ল বা পিএসএলভির পিঠে চেপে যাত্রা শুরু করেছে এক্সপোস্যাট। পিএসএলভি-র এটি ৬০তম মহাকাশ যাত্রা।

ইসরোর পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়। আপাতত এক্সপোস্যাটকে রাখা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে।

মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর ওপরে নিচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। এক্সপোস্যাটে রয়েছে দু’টি পেলোড- পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথ ভাবে এই পেলোড তৈরি করেছে।

মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে চলেছে ইসরো। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট।

মহাকাশে যখন কোনও তারার ‘মৃত্যু’ হয় অর্থাৎ কোনও নক্ষত্র ধ্বংস হয় তখন সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর এবং নিউট্রন স্টার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ মহাকর্ষীয় বলের অধিকারী ব্ল্যাক হোল।

এছাড়া অনেকগুলো নিউট্রন কণা গাঢ় ঘনত্বে একত্রিত হয়ে তৈরি তারার নাম নিউট্রন স্টার। এ ধরনের নক্ষত্র অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের হয়। সর্বসাকুল্যে নিউট্রন স্টারের ব্যাসার্ধ ৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। সেই নক্ষত্রগুলোকেও পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। এই মিশনে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে ইসরো।

আরও পড়ুন: ভারতে নির্বাচনের আগে কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম

ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে। এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামনে আরও উত্তেজনাময় সময় অপেক্ষা করছে। মাত্রই বছর শুরু হলো। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। ২০২৪ গগনযানের বছর।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।