পাকিস্তানে পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক
পেশোয়ারে আর্মি পাবলিক স্কুলে তালেবানের নৃশংস হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেড়শতাধিক মানুষ নিহতের ঘটনায় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু হয়েছে সারা পাকিস্তানে। হামলা পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সব সংসদীয় দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এসময় জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের স্থগিতাদেশ বাতিলের ঘোষণা দেন নওয়াজ।
বুকভরা বেদনা ও ক্ষোভ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে করাচিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে তালেবান হামলায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করেন শতশত পাকিস্তানি। হামলাকারীদের পশুর সঙ্গে তুলনা করে নিরীহ শিশুদের হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।
হামলায় গুরুতর জখম শতাধিক শিক্ষার্থী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে পেশোয়ারের হাসপাতালে। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা এই শিক্ষার্থীরা জানালেন বিভীষিকাময় স্মৃতির কথা।
এক আহত শিক্ষার্থী বলেন, হঠাৎ করে গুলির শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে কম্পিউটার কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেই। একটু পরেই কয়েকজন বন্দুকধারী দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গুলি করে আমার কয়েকজন সহপাঠীকে হত্যা করে। এসময় আমার শরীরেও গুলি লাগে।
অপর এক আহত শিক্ষার্থী বলেন, আমার চোখের সামনে ওরা আমার কয়েকজন বন্ধু ও একজন শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করে। আরেকজন ম্যাডামের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয়ে টেবিলের নিচে ঢুকেও তাদের হামলা থেকে রক্ষা পাইনি।
এ হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যে করেই হোক দেশ থেকে জঙ্গিদের উচ্ছেদ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।