প্রেমিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণ: প্রেমিকসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পিয়াল, সুজন ও উজ্জ্বল

প্রায় অর্ধযুগ আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় প্রেমিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে প্রেমিকসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভিকটিমের প্রেমিক ইয়াসিন সরদার হৃদয়, তার বন্ধু ফাহাদ শেখ পিয়াল, দেলোয়ার হোসেন দেলু, সুজন ও উজ্জ্বল। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় পিয়াল, সুজন ও উজ্জ্বল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলায় হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে আসামি হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হৃদয় তার প্রেমিকাকে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় দেখা করতে যেতে বলে। ওই কিশোরী দেখা করতে গেলে হৃদয় তাকে পার্শ্ববর্তী ফাহাদ শেখ পিয়ালের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে হৃদয় কিশোরীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। অচেতন অবস্থায় আাসামিরা কিশোরীকে পালাক্রমে ছয়দিন ধরে ধর্ষণ করে। ২৭ নভেম্বর ভিকটিম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় আসে।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারকালে আদালত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এমআইএন/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।