কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই ভাতিজির সঙ্গে কথা বললেন ইনু
জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ (১৮) হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে আসামিদের কাঠগড়ায় তোলা হলে ১৪-১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে হাসানুল হক ইনুর দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। এসময় তার পাশে আরও কয়েকজন ছিলেন। পরে ওই কিশোরীর সঙ্গে ইনু কয়েক মিনিট একান্তে কথা বলেন। এরপর বিচারক এজলাসে এলে মেয়েটি বেঞ্চে গিয়ে বসেন। পরে জানা যায়, মেয়েটির নাম টিংকু এবং সে ইনুর ভাতিজি। তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন
- আদালতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে ইনুর অস্বীকৃতি
- যাত্রাবাড়ীতে সেদিন কী ঘটেছিল, জানালেন খোকন চন্দ্র
- কদমতলীর ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার ইনু-মেনন-পলক
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফ হোসাইন গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত এটি মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ আন্দোলনে অংশ নেন। ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় আসামিদের ছোড়া গুলি তার মুখের সামনের অংশ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় মামলা হয়। এ মামলায় রাশেদ ৭, ইনু ৮ ও পলক ৯ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে পলককে গ্রেফতার করা হয়। ২২ আগস্ট রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এমআইএন/কেএইচকে/বিএ/এমএস