ঢাকায় দুই শিশু-কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রতীকী ছবি

ঢাকায় দুটি পৃথক ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক গোলাম কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে বাড়ির ম্যানেজার আব্দুল গাফফার ও তার সহযোগী মো. বাচ্চুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই রায়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য আরেক মামলায় রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার নামের এক আসামিকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও আব্দুল গাফফার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম।

মাতুয়াইলের বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ মামলা
২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে ভুক্তভোগীর বাবা-মা কর্মস্থলে গেলে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের এক বাসায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়।

পরে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় আব্দুল গাফফার আবারও তাকে ডেকে নেওয়ার চেষ্টা করলে কিশোরী বিষয়টি মাকে জানায়। পরদিন ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই মামলার রায় ঘোষণা হয়।

রামপুরার শিশু ধর্ষণ মামলা
২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে রামপুরা টিভি সেন্টার রোডের একটি গ্যারেজে শিশুটির মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুটিকে দোকান থেকে ঠান্ডা আনতে বলে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।

মেয়ে ফেরত না আসায় খুঁজতে গিয়ে শিশুটির মা ঘটনা জানতে পারেন। শিশুটি মাকে জানায়, তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। ওইদিনই রামপুরা থানায় মামলা করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন উপ-পরিদর্শক মুকুল মিয়া। মামলার বিচার সেই বছরের ৬ নভেম্বর শুরু হয়। এ মামলায় ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছে।

আশিকুজ্জামান/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।