জয়-আনিসুল-সালমান-পলকের তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সজীব ওয়াজেদ জয়, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তদন্তের পর প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বা প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে প্রসিকিউশন তা যাচাই–বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জয়ের কথোপকথনের কল রেকর্ড পাওয়া গেছে। তাতে গণঅভ্যুত্থান দমনের বিষয়ে জয়ের সঙ্গে পলক আলোচনা করেছেন, এমন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে জয়ের সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির বিষয়টি মাথায় রেখেই মামলার তদন্ত হয়। তিনি তার সরকারি পদ ও অবস্থানকে ব্যবহার করে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণঅভ্যুত্থান দমনের চেষ্টা করেছিলেন, প্রসিকিউশন সূত্রের দাবি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে চলা হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সকালে বিচারকাজ শুরু হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ প্রমুখ। পরোয়ানা জারির আবেদনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমল এবং জুলাই–আগস্টে তাঁদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।

এই অপরাধগুলো বিস্তৃত মাত্রায়, সারা বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম এই অপরাধের আসামি যারা, তারা অসম্ভব রকমের প্রভাবশালী, তাদের গ্রেফতার করা না হলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করাটা অসম্ভব কঠিন। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ, এমনকি শহীদ পরিবারের সদস্যরা কথা বলতে সাহসী হচ্ছেন না। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিলাম।’

এফএইচ/এমএএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।