জামিন চেয়ে হাইকোর্টে এনামুল বাছিরের আবেদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বরখাস্ত হওয়া ঘুস কেলেঙ্কারির মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুদকের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।

ফারুখ আলমগীর চৌধুরী বলেন, জামিন আবেদনটি বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর একক বেঞ্চে শুনানির জন্য (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় থাকতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) হাইকোর্ট থেকে খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিলেও পরে সেটি বাতিল করে দেন চেম্বারজজ আদালত।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুস দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। এরপর ঘুস লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দিয়েছিলেন তিনি। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুস দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।

এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। এ মামলায় ডিআইজি মিজানকেও গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।

এর মধ্যে ঘুস লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে, মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে, দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি।

পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত।

এফএইচ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।