তালিকাভুক্ত দৈনিকের প্রচার সংখ্যা ও বিজ্ঞাপনের হার

ডিএফপি প্রকাশিত তথ্য নিয়ে হাইকোর্টের রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২
ফাইল ছবি

তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রচার ও প্রকাশের সংখ্যা ও বিজ্ঞাপনের হার (তালিকাক্রম) নিয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত দৈনিকের প্রচার ও প্রকাশের সংখ্যা ও বিজ্ঞাপনের হার পুনর্নির্ধারণ করে সঠিক আইনের বিধান দ্বারা সাবস্ক্রাইব করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিচালক (বিজ্ঞাপন ও এবিসি) ও উপ-পরিচালকসহ (বিজ্ঞাপন ও নিরীক্ষা) সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ড. দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু।

গত ৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা ও বিজ্ঞাপনের হার নিয়ে প্রকাশিত তালিকায় সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ফারহাদ জাহান শিরিন। যদিও রিটের এখতিয়ারের বিষয়ে শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন আদালত।

আদালত জানতে চান দেশে এত পত্রিকা থাকতে কোনো মালিক বা গণমাধ্যমকর্মী আদালতে এলো না। আপনারা আইনজীবী হিসেবে এই রিট করতে পারেন কিনা? এর জবাবে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু ডিএলআর থেকে জনস্বার্থে আইনজীবীরা যৌক্তিকতা কারণ দেখিয়েছি বলেও জানান তিনি।

আদালতে রিট করার আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশ পাঠানোর পরও ওই সময়ের মধ্যে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়।

আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেুত বলেন, ঢাকা মহানগর হতে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন হার ও তালিকাক্রম পুনর্নির্ধারণ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বলা হয়, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকার প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন হার ও তালিকাক্রমের কারণে এই সেক্টরে কাজ করেন এমন ২০ হাজার পরিবার পথে বসবে।

এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের পদক্ষেপ গ্রহণ না পেয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ফারহাত জাহান শিরিন বাদী হয়ে ডিএফপি কর্তৃক প্রকাশিত গত ৮ সেপ্টেস্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট (রিট পিটিশন নং: ১১৩৫৩/২২) দায়ের করেন।

এফএইচ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।