মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ
পাহাড়-টিলা কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পাহাড়-টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ, সঞ্জয় মণ্ডল, নাছরিন সুলতানা। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া চা বাগানের ভেতরে রাস্তা নির্মাণে টিলা কাটা ও হবিগঞ্জের নবিগঞ্জের দিনারপুরে পাহাড় কাটার সংবাদ প্রকাশিত হলে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়। আবেদনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
তিনি জানান, ওই আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে পাহাড়টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে ওই জেলার এসপি নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন।
এফএইচ/এএএইচ/জিকেএস