ধূপখোলা মাঠ খেলাধুলা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার না করার নির্দেশ

ঢাকার ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠে মার্কেটসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। অন্য এক নির্দেশনায় আদালত বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে, মাঠ খেলাধুলা ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না করার জন্যে।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন বেলার আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধূরী।
রোববার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং জনাব বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধূরী এবং তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম, আইনজীবী শামীমা নাসরিন ও আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না।
পরে এ বিষয়ে বেলা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ঐতিহাসিক ধূপখোলা খেলার মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক মার্কেট ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা আরোপ করেছেন।
একইসঙ্গে আদালত ধূপখোলা মাঠ (বিরুদ্ধ) খেলাধুলা ব্যাতীত সব ব্যবহার থেকে বিরত থাকতেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ধূপখোলা মাঠে মার্কেট নির্মাণ ও মাঠের শ্রেণি পরিবর্তনের উদ্যোগ সংবিধান ও দেশে প্রচলিত আইন ও ঢাকা শহরের সকল খেলার মাঠ রক্ষায় আদালতের প্রদত্ত রায়ের পরিপন্থি হওয়ায় কেন তা আইন বর্হিভূত, আইনি কর্তৃত্ববিহীন এবং আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
পাশাপাশি সেখানে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করে কেন তা জনগণের জন্য খেলার মাঠ হিসেবে রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
পরিবেশ ও বন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ৬টি সমমনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ ও গ্রীন ভয়েস) জনস্বার্থে রিট (নম্বর ২০৩২/২০২৩) দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম