ড. ইউনূসের ১৩ মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রায় ১২০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি ও আয়কর সংক্রান্ত ১৩ মামলা শুনানি জন্য নতুন হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব মামলার শুনানি হবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে মঙ্গলবার (৬ জুন) ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার নথিসমূহ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে হাইকোর্টের নতুন এ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাগুলো উপস্থাপনের কথা রয়েছে।

গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার (৫ জুন) মামলাগুলো শুনানিতে অপরাগতা জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এর একদিন পরই নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি।

আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী জানান, এখন মামলাগুলো কার্যতালিকায় এলে আদালত শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অর্থবছরে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ দাবি চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক পাঁচটি রিট এবং আটটি ইনকাম ট্র্যাক্স রেফারেন্স মামলা করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ মামলাগুলো করা হয়।

চলতি বছরের ৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব মামলার শুনানি নিতে অপারগতা প্রকাশ করে মামলাগুলো কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। তখন রাষ্ট্রপক্ষ মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো.ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে নিয়ে যায়। সোমবার এ বেঞ্চও মামলাগুলো শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের কারণে অনেক রাজস্ব আটকে আছে, এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে আয়কর ও শুল্ক সংক্রান্ত মামলাগুলোর ওপর হাইকোর্ট বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ১২০০ কোটি টাকার উপরে আয়কর আটকে আছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

প্রতিষ্ঠান দুটির আইনজীবী শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি একসময় এসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তাই এই বেঞ্চে মামলাগুলোর শুনানি ঠিক হবে কি না। আইনজীবীর এ প্রশ্নে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, শুনানি করতে কোনো সমস্যা নেই।

তবে প্রশ্ন ওঠায় মামলাগুলো নতুন বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর আজ মঙ্গলবার নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি।

এফএইচ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।