পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০২ জুলাই ২০২০

পেয়ারা বেশ পরিচিত একটি ফল। এটি সহজলভ্যও। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এই ফল বেশ উপকারী। পেয়ারায় আছে ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে আরও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানটি শরীর যাতে খাবারে থাকা পুষ্টি ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। এমনটাই প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-

পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে সব ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেইসঙ্গে শরীরে উপস্থিত সমস্ত ধরনের বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর দ্রুত সতেজ হয়ে ওঠে।

jagonews24

প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।

jagonews24

পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে তোলে। নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।

jagonews24

পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলো বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।

jagonews24

শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূর হয়। সব রকম ফলের মধ্যে পেয়ারায় রয়েছে সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খান।

এইচএন/এএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।