শিক্ষার্থীদের পুলিশের মারধর, ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় শিক্ষার্থীদের মারধরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় এক সাংবাদিককে হেনস্তা করেছে পুলিশ। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ওই সাংবাদিককে ধরে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পরে অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে তোপের মুখে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক লতিফ রানা জানান, ভুক্তভোগী ঢাকা মেইলের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক খলিলুর রহমান স্টালিন পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হচ্ছিলেন। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে খলিল মোবাইল ফোনে এ ঘটনার ছবি তুলছিলেন এবং ভিডিও ধারণ করছিলেন। এসময় পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তার গলা ধরে আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন।

আরও পড়ুন>>পুলিশ পরিচয়ে ৩০ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে প্রতারণা

তিনি জানান, খলিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সেই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাকে গাড়িতে তোলেন। খলিলকে গাড়িতে তোলার সময় সংবাদ সম্মেলন শেষে সেই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল কবীর রূপম। এসময় তিনি পুলিশকে বাধা দেন। পরে খলিলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তোপের মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সটকে পড়েন তারা।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খলিলুর রহমান জানান, পুলিশকে পরিচয় দেওয়ার পরও তারা শোনেনি। তাকে কলার ধরে মারধরের পর জোর করে গাড়িতে তোলা হয়। ওই সময় দুই সিনিয়র সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্ত হন।

শিক্ষার্থীদের পুলিশের মারধর, ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা

এ বিষয়ে ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, আমি এখনো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। ঘটনা জেনে সত্যতা প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্র্যাবের নিন্দা

এদিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ঢাকা মেইলের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমানকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশিদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা।

আরও পড়ুন>>ইয়াবাসহ অটোরিকশা আটকের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

পাশাপাশি সাংবাদিকের সঙ্গে পুলিশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট থানার এসআইয়ের বিষয়ে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

টিটি/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।