জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: আমুসহ ৩ জনের নামে মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৫

প্রায় সাড়ে ৩৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও কথিত শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরির নামে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ৬ নভেম্বর ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি আমুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ১৪ আগস্ট আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দ্বাদশ সংসদের ঝালকাঠিতে আমুর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রথম মামলায় আমুর বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আমু পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে এই সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, সুমাইয়া হোসেন তার পিতা আমির হোসেন (আমু) পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পিতার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া সুমাইয়া হোসেন ১৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

তৃতীয় মামলায় আমির হোসেন আমু ও তার কথিত শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীকে আসামি করা হয়েছে। সৈয়দা হক মেরীর কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও আমুর সাহায্যে তিনি সম্পদশালী হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় ও ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এসএম/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।