সায়েদাবাদে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ২৮ মার্চ ২০২৫

ঈদুল ফিতরের বাকি আর দুদিন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাস, ট্রেন, লঞ্চে করে বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। শেষ সময়ে যাত্রীর চাপ বাড়ছে বাস টার্মিনালগুলোতেও। তবে ঈদের আগ মুহূর্তে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। দেখা যায়, দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের ডেকে ডেকে তুলছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তবে ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের দরদাম করে টিকিট কাটতে হচ্ছে।

সায়েদাবাদে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

বরিশালগামী বিএমএফ পরিবহনের বাসের ভাড়া অন্য সময় ৫০০ টাকা হলেও আজ প্রতিটি টিকিট ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাফী নামে এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ এলেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। অনেক কাউন্টারে ঘুরেছি, বরিশালগামী প্রায় সব বাস এমন ভাড়া রাখছে। কিছু বাস এখনো ভাড়া বাড়ায়নি, সেগুলোর আবার টিকিট পাওয়া কষ্টকর, অগ্রীম সব বিক্রি হয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে বিএমএফের টিকিট কাটছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমএফের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, এটা কোম্পানির সিস্টেম। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

সায়েদাবাদে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

এদিকে নোয়াখালীর বিভিন্ন রুটেও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। নোয়াখালীর চাটখিলগামী হিমালয় ও আল বারাকা পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা করে। অন্য সময়ে এই বাসের ভাড়া ৪৫০ টাকা। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সায়েদাবাদ কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, বেশি তো ভাড়া বাড়েনি। ঈদে এটা স্বাভাবিক।

সিলেটগামী যাত্রী আব্দুল হাই জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের চার সদস্য মিলে যাচ্ছি। আল মোবারাকা বাসে অন্য সময় ভাড়া ৫০০ টাকা, কিন্তু আজ চারজনে ৬০০ টাকা করে কিনতে হয়েছে। এগুলো দেখার কেউ নাই।

পটুয়াখালীগামী যাত্রী মিজান জাগো নিউজকে বলেন, লঞ্চে বাড়ি যেতে অনেক ঘোরা লাগে। তাই বাসেই যাতায়াত করি। কিন্তু সকালে কাউন্টারে এসে দেখি ইউনিক বাস ৮০০ টাকা করে নিচ্ছে। অন্য সময় ভাড়া ৬০০। কাল হয়তো আরও বাড়িয়ে দেবে।

সায়েদাবাদে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

তিনি বলেন, বরিশালের যাত্রী বেশি, তাই প্রায় সব বাস ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরগামী ইকোনো পরিবহনের বাস অন্য সময়ে ৫০০ টাকা নিলেও আজ শুক্রবার ভাড়া নিচ্ছে ৭০০ টাকা করে। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাউন্টারের কর্মচারী আজিজ আহমেদ বলেন, মালিক বাড়িয়েছে। আমাদের কোনো দোষ নেই।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত এএসআই আমিরুল বলেন, আমরা মূলত যাত্রীদের সচেতন করছি। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেই বিষয়ে সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখছি। আর বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএএস/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।