সহকর্মীদের গালি দিয়ে শাস্তি পেলেন এসপি নাহিদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী/ ছবি- সংগৃহীত

নিজের অফিসের সহকর্মীদের গালাগালি করে ‘তিরস্কার’ শাস্তি পেলেন শেরপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী।

রোববার (২৭ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেটে কর্মরত কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) আরআরএফ, শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে নিজ অফিস কক্ষে অধস্তন পুলিশ বা সিভিল সদস্যদের উপস্থিতিতে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অবৈধভাবে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ওই ঘটনার একদিন পর শেরপুর জেলার অন্য কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি পুলিশ লাইনসে সংরক্ষণ না করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের সরকারি গাড়ি ব্যবহারের আদেশ বাতিল করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে অফিসে না যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। যা তার (মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী) ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রচলিত আইন, বিধিবিধানসহ শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশ সুপারের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে শেরপুর জেলার মাদক নির্মূলের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও তার শ্যালক কাজী মাহমুদুল হাসান শুভ মাদক কারবারি অলক সাহার কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয়বার ফেনসিডিল কিনে বন্ধুদের নিয়ে তার সরকারি বাসভবনে অবস্থান করেন। ফেনসিডিল কেনা ও সেবনের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় কারণ দর্শানো হয়। তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন।

শুনানিকালে অভিযোগ ও লিখিত জবাব, উভয় পক্ষের বক্তব্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক প্রমাণ পর্যালোচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৭(২)(ঘ) বিধি মোতাবেক অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সব বিধি-বিধান মেনে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। এটি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) বিধি অনুসারে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হয়। পরে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়।

টিটি/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।