ছিনতাইয়ের আসামিকে ধরিয়ে দেওয়ায় আল আমিনকে খুন, গ্রেফতার ২

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আল আমিন ওরফে পাতা আল আমিন (২৬) হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মো. মোশারফ হোসেন (২৬) ও দুই নম্বর আসামি মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপনকে (২৪) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব বলছে, ছিনতাইয়ের এক আসামিকে পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার জেরে আল আমিনকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে আসামিরা।

শনিবার (১৯ জুলাই) ভোলার চরফ্যাশন থানাধীন বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮।

র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, নিহত আল আমিন একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতো। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত কয়েকদিন আগে কিশোর গ্যাং লিডার ও মাদক কারবারি মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সাহয্য করেছিলেন নিহত আল আমিন।

পরবর্তীতে এরই জের ধরে মোশারফ, রিপন ওরফে গিট্টু রিপনসহ কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় আল আমিন মোহাম্মদপুর থানাধীন চাঁদ উদ্যান এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আসামি মোশারফের নেতৃত্বে রিপন ও তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনের ওপর নৃশংস হামলা করে।

সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু বলেন, একপর্যায়ে আসামিরা ধারালো সামুরাই দিয়ে আল আমিনের শরীরে কুপিয়ে এবং ডান পায়ের হাঁটুর রগ ও ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে দেয়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে গেলে আসামিরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আল আমিনকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আল আমিনের মা বাদী হয়ে দুজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, এক নম্বর আসামি মোশারফ পেশায় রিকশাচালক। গত এক বছর ধরে রিকশা চালানোর আড়ালে ছিনতাই, মাদক কারবার, চুরি ও হত্যার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। সে মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী হিসেবেও পরিচিত। ইতোপূর্বে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে আবার মোহাম্মদপুর, আদাবর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যাসহ বিভিন্ন সস্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।

খান আসিফ তপু আরও জানান, দুই নম্বর আসামি রিপন ওরফে গিট্টু রিপন পেশায় রংমিস্ত্রি। জন্ম থেকে ঢাকার রায়েরবাজার এলাকায় বসবাস করে। রংমিস্ত্রি পেশার আড়ালে মোশারফের নেতৃত্বে চুরি, ছিনতাই, মাদক কারবার ও হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত সে।

টিটি/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।