দুর্নীতি

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নানের বিরুদ্ধে ২ মামলা অনুমোদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান/ফাইল ছবি

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) শেখ আব্দুল হান্নান এবং তার স্ত্রী তাহমিদা বেগমের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। দুদকের উপপরিচালক তানজির হাসিব সরকার বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করবেন।

আক্তার হোসেন জানান, শেখ আব্দুল হান্নানের সন্তানদের নামে তিন দেশে সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শেখ আব্দুল হান্নান জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৫০৬ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজের দখলে রেখেছেন। একই সময়ে তিনি নিজের নামে ছয়টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭০১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, তিনি অপরাধলব্ধ এই অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ আবদুল হান্নানের স্ত্রী তাহমিদা বেগম স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৩০৪ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজের দখলে রেখেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া, তিনি নিজ নামে থাকা ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ১২৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই অভিযোগে তাহমিদা বেগম ও তার স্বামী শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি পৃথক মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত শেখ আব্দুল হান্নান, তাহমিদা বেগম ও তাদের পরিবারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে তাদের ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ঢাকার অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও জমি জব্দ করা হয়। এসব পদক্ষেপের ফলে তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে এসেছে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এসএম/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।