আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বনি আমিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন মাহফুজের ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৯ জুলাই ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার বড় ভাই মাহবুব আলম মাহির (বাঁয়ে) এবং ইউটিউবার বনি আমিন

সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বড় ভাইয়ের টেন্ডার সংক্রান্ত অস্বচ্ছতার অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে তথ্য উপদেষ্টার ভাই ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহির ফেসবুকে এক পোস্টে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতার অপবাদ যিনি ছড়িয়েছেন তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। অন্যথায়, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৮ জুলাই) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষমা চাইতে বলেন মাহবুব আলম। এরপর, তথ্য উপদেষ্টা নিজেও তার বড় ভাইয়ের পোস্টটি শেয়ার দিয়ে পরবর্তীতে আরেকটি ফেসবুক পোস্ট দেন।

ফেসবুক পোস্টের শুরুতেই মাহবুব আলম ‘মিথ্যা অভিযোগের জবাব!!’ উল্লেখ করে লেখেন, একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার অ্যাকাউন্টে গত ৬ মাসের বিবরণী এখানে দেওয়া হলো। আমার অ্যাকাউন্টটি এখনো সচল আছে। বনি আমিন নামক ব্যক্তি ও কিছু মিডিয়ার প্রচারিত তথ্য আসলে মিথ্যা বৈ কিছু নয়। আমি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাউন্টটি ২৩ সাল থেকে খোলা।

তিনি আরও লেখেন, আমার ভাই মাহফুজ আলমের পক্ষ থেকে কোনো তদবিরের কাজ আমি করিনি। কাউকে সে আজ পর্যন্ত করতেও দেয়নি। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যবসা বাদে আমার কিংবা আমাদের পরিবারের কোনো আর্থিক লেনদেনের ইতিহাস নেই। আমাদের পরিবার গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসায় জড়িত। আমার বাবা গত ১৬ বছর লীগের নিপীড়নের কারণে ঠিকমত ব্যবসা করতেই পারেননি।

পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির এই যুগ্ম আহ্বায়ক লেখেন, আমার বাবার ও মাহফুজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো আমি ও আমার বাবা পরিচালনা করছি। এখানে কোনো অস্পষ্টতা নাই। সবই বাংলাদেশের আইন দ্বারা সিদ্ধ এবং পাবলিক ইনফরমেশন।

গত নভেম্বরে দেশে ফিরে আসার পর থেকে অনেক তদবির এলেও মাহফুজ (তথ্য উপদেষ্টা) কোনো কাজই করেনি উল্লেখ করে তিনি লেখেন, বরং, আমাদের পরিবারের সব সদস্যদের স্পষ্ট নিষেধ করা আছে, যাতে কোনো তদবির তাকে না করা হয়। তার বা আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতি কিংবা তদবির বাণিজ্যের কোনো প্রমাণ আজও কেউ দিতে পারেনি, পারবেও না। কারণ, আমরা করিনি।

পোস্টের শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে মাহবুব আলম লেখেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে (বনি আমিন) ক্ষমা চাইতে হবে। আমি অস্ট্রেলিয়ায় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

যা বললেন বনি আমিন

এদিকে, মাহফুজ আলমের বড় ভাইয়ের এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে বনি আমিন নামের ওই ভ্রমণকারী ও ইউটিউবারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ব্যাংক একাউন্ট ছেপে মাহফুজের ভাই আমাদের অ্যাডমিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বললো। বনি আমিন যে কী এই ‘মাল’ সেটাই জানে না, আফসোস!

এএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।