দশ প্রতিষ্ঠানকে সোয়া আট লাখ টাকা জরিমানা
সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১০ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আট লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।গত ১৯-২৫ জুলাই পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এসব জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সুনামগঞ্জের হাবিব টাইগার মসলা প্রোডাক্টসকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণ ও মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চট্টগ্রামের অরফিয়া ফুড প্রোডাক্টসকে পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন ও খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ ঘটানোর জন্য এক লাখ টাকা, পাবনার এইচ বিডি ফাস্ট ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণ ও মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সিলেটের পুষ্টি ফুডসকে খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ ঘটানো ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া ঢাকার রয়েল প্যাকেজিংকে পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করার জন্য ৬০ হাজার টাকা, নাটোরের বিদু রায়ের দোকানকে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করার জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জামালপুরের কুসুমকলি বেকারিকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৫০ হাজার টাকা, রংপুরের মেডিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণ ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বগুড়ার ওয়ান ফুডকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণ করার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং নারায়ণগঞ্জের আল ওয়ালি ক্যামিকেলস অ্যান্ড কনজ্যুমারসকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুত বা প্রক্রিয়াকরণ করার জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এনএইচ/এমএএইচ/এমএস