সুন্দরবন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
জজ মিয়ার দুই গোডাউন পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি
রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের নিচতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত মোবাইল এক্সেসরিজের গোডাউন। আজ শনিবার সকাল ৯টায় গোডাউন মাত্র খোলা শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এর এক ঘণ্টা পরই আগুন লাগে। আগুনের খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবনের পাঁচতলায় জজ মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীর দুটি গোডাউন পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। গোডাউন দুটিতে মোবাইল এক্সেসরিজের প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি জজ মিয়ার।
দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগা ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন জজ মিয়া। আগুনে দুটি গোডাউন পুড়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। দুজন ধরে তাকে ভবনের নিচে নামিয়ে আনেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমার গোডাউনে ছিল সব আইফোনের মালামাল। এক কোটি টাকার ওপরে মালামাল ছিল। সব শেষ।

শাহ পরান নামের আরেক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, পঞ্চম তলায় পশ্চিম পাশে একটি গোডাউন আছে আমার। এর পাশেই জজ মিয়ার দুটি গোডাউন। জজ মিয়ার গোডাউন দুটি পুড়ে গেছে। গোডাউন দুটিতে প্রায় কোটি টাকার মালামাল ছিল।
- আরও পড়ুন
- এখনো আগুন আছে কি না ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে ফায়ার সার্ভিস
- তিন বছর আগে সুন্দরবন মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়
কথা হয় আব্দুল মান্নান নামের আরেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে মার্কেটে ছুটে আসি। চতুর্থ তলায় আমার তিনটি গোডাউন রয়েছে। তবে আমার গোডাউন পর্যন্ত আগুন পৌঁছাতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিসের প্রশংসা করে এ ব্যবসায়ী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ ভূমিকার কারণে আগুন অন্য গোডাউনে ছড়াতে পারেনি। নাহলে আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।

মার্কেটের পঞ্চম তলায় ভিশন এক্সেসরিজ নামের এক গোডাউনে কাজ করেন জীবন কুমার। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, দোকান (গোডাউন) খুলে জিনিসপত্র পরিষ্কার করছিলাম। এমন সময় চারদিকে দেখি ধোঁয়া। ভয়ে গোডাউন বন্ধ করে নিচে নেমে আসি।
ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) তালহা বিন জসিম বলেন, সকাল ১০টায় গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় আগুন লাগার খবর আসে। এরপর ১০টা ৩ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ১১ ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। ১২ ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
টিটি/কেএসআর/এএসএম