ইসি সানাউল্লাহ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য এমপি প্রার্থী হতে পারবেন না
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পরিচালনায় ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থাকেন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যরা। তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে থাকা কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
জানা গেছে, এমন একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, প্রার্থী হতে হলে জামানত দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা।
- আরও পড়ুন:
- ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী
- সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা নয়, পলাতক আসামি ‘ভোটে অযোগ্য’
নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলেই গেজেট করা হবে। এদিকে প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। মনোনয়নপত্র বর্তমানে অনলাইনে দাখিল করা গেলেও তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বা তার প্রস্তাবক বা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। তারা তারিখ ও সময় উল্লেখ করে রশিদ দেবেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, প্রার্থীকে সর্বশেষ ট্যাক্স, রিটার্ন দাখিল করতে হবে৷ দেশে ও বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণ ও আয়ের উৎস দিতে হবে। আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবে সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদি ও প্রবাসীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এতে ভোটের হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথও নিশ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে৷ এতে কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে সেই প্রার্থীকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। ‘না’ ভোট জয়ী হলে ফের ভোট হবে। দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী থাকলে তিনিই নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন।
এমওএস/এনএইচআর/এএসএম