এনআইডির তথ্য ফাঁস
অভিযুক্ত তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটির অস্তিত্ব পায়নি দুদক
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য জালিয়াতি ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিকনের তিন কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থার উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
অভিযুক্ত কোম্পানি তিনটি হলো ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ডিজিকন টেকনোলজিস পিএলসি। এর মধ্যে মিরপুরের ১২ নম্বরে ডিজিকন টেকনোলজিস কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অভিযানে দেখা যায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি শুধু নামসর্বস্ব এবং বাস্তবে তাদের কোনো কার্যক্রম বা অস্তিত্ব নেই। তবে একটি প্রতিষ্ঠান ডিজিকন টেকনোলজিস বর্তমানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং কলসেন্টার চালু রয়েছে।
অভিযান চলাকালে প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদকের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, সংগৃহীত নথিপত্র পর্যালোচনার পর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনআইডির তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডির তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসকে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য এনআইডির তথ্য ব্যবহার করার অনুমতি দেন।
এসএম/একিউএফ/এমএস