ক্ষতি হতে পারে ফুসফুস-হার্ট-ত্বকের

কেমিক্যালের ধোঁয়ায় বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে গেছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
ঘটনাস্থলে ব্রিফিং করেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে কেমিক্যাল গুদামের আগুন এখনও নির্বাপণ হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। মানবদেহের জন্য বিষাক্ত গ্যাস ও ক্লোরিন গ্যাস ধোঁয়ার সঙ্গে বাতাসে মিশে গেছে। যা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস, ফুসফুস, হার্ট ও ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আগুনের ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গোডাউনে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যালের ধোঁয়া থেকে টক্সিক গ্যাস তৈরি হয়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে গেছে। এছাড়া ক্লোরিন গ্যাস ছড়িয়েছে; যা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস, ফুসফুস, হার্ট ও ত্বকের সমস্যা হতে পারে। যা ঘনবসতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কেমিক্যাল রয়েছে তা অপারেশন করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। বুয়েট থেকে আজ বিকেলে একটি বিশেষজ্ঞ টিম আসবে, তারা দেখে পরামর্শ দেবেন। এরপর সিদ্ধান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গার্মেন্টসের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে কিন্তু কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগবে। কেমিক্যাল গোডাউনের ভেতরে এখনও প্রচুর সাদা ধোঁয়া আছে।

কেমিক্যালের আগুন বিপজ্জনক উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী গুদামজাত না করা হলে কেমিক্যাল একসঙ্গে হয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ-বিক্রিয়া হতে পারে। যে কারণে এখানে সময় লাগছে।

কোনো মরদেহ আছে কি না জানতে চাইলে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, পুরোপুরি অগ্নি নির্বাপণের পর বলা যাবে আর কোনো মরদেহ আছে কি না।

কেমিক্যাল গোডাউনের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না ফায়ার সার্ভিসের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালিকের খোঁজ আমরা এখনও পায়নি। তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের রাসায়নিক গুদামে আগুনের খবর আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে।

পরে বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।

এরপর পোশাক কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।

টিটি/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।