মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কেমিক্যাল করপোরেশনের টিম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
রূপনগরে কেমিক্যাল গুদামে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রতিনিধিদল

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গুদামে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সিনিয়র জিএম মনজুর রেজার নেতৃত্বে চারজনের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও জলবায়ু সহনশীলতা বিভাগের অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ কবীরসহ দুজন।

এই বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে, আগুনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইয়াছির আরাফাত খান, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-২ এর সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা, মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের পিও কাম অ্যাডজুটেন্ট মো. সাইদুল করিম চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ঢাকা ২৩ এর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সোহরাহ হোসেন, মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ফসির উদ্দিন এবং সদস্য সচিব ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।

আরও পড়ুন
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি

এর আগে, বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয়, দায়দায়িত্ব এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের এক কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার খবর আসে।

খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচ ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।

পরে ১৬ জনের মরদেহ পোশাক কারখানা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।

টিটি/এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।