টেকনাফে গহিন পাহাড়ে বন্দি নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৭, আটক ৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৭ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৭ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এসময় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন—বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের আবদুর রহমান (৩২) ও হামিদ হোসেন (২৮) এবং পার্শ্ববর্তী বড় ডেইল গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৩০)।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে নারী ও শিশুসহ বেশকিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড স্টেশন টেকনাফ ও আউটপোস্ট বাহারছড়া কর্তৃক ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালে আভিযানিক দল পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশে বন্দি থাকা নারী-শিশুসহ ৭ জনকে উদ্ধার করে। এসময় আভিযানিক দল ৩ জন মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীকালে পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যমতে তাদের গোপন আস্তানা থেকে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে লে. কমান্ডার সিয়াম জানান, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং অল্প খরচে বিদেশযাত্রার প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনের জন্য উদ্বুদ্ধ করে সাগরপথে পাচারের পরিকল্পনা করছিল।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে আসা ভুক্তভোগীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার ব্যক্তি, জব্দ আগ্নেয়াস্ত্র ও আটক অপহরণকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টিটি/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।