‘খালেদা জিয়া-হাদির মতো দেশপ্রেমিক মানুষের খুবই প্রয়োজন’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেমন দেশের জনগণের হৃদয় জয় করেছেন, ঠিক তেমনি ২৪- এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদিও মানুষের মন জয় করেছেন। এখন দুজনেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিষয়টা ভাবতেই কষ্ট হয়। তাদের মতো দেশপ্রেমিক লোক দেশে খুবই প্রয়োজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইফতেখার উদ্দিন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত বা আপস করেননি। দেশের স্বার্থে কাউকে ছাড় দেননি। তার এই দেশপ্রেম দেশের মানুষের কাছে তাঁকে মহত করেছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের আগে ইনকিলাব মঞ্চ বা শরিফ ওসমান হাদিকে মানুষ তেমন জানতো না। গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময়ে এই হাদি, তার গঠনমূলক বক্তৃতা, সাংগঠনিক কার্যক্রম, দেশ প্রেমে সবাইকে মুগ্ধ করেছে। পরে ঢাকা-৮ আসনে তার প্রার্থিতা বেশ সাড়া ফেলেছে। ফলে হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেশের সব পেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। এটাই হাদির প্রতি দেশের মানুষের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।
গত ২৩ নভেম্বর নিজ বাসভবনে অবস্থানকালে শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় খালেদা জিয়ার। ক্রমান্বয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি-পরবর্তী পরীক্ষা–নিরীক্ষায় তার ফুসফুস, হৃদ্যন্ত্র ও কিডনির অবস্থার দ্রুত অবনতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কেবিন থেকে উন্নত চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনি গণসংযোগ চলাকালে বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আরও ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওসমান হাদি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
এভারকেয়ার হাসপাতালের দক্ষিণ ফটকের এলাকাটি ভাটারা। এ এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর পরদিনই হাদিকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়। ওই সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
এমএমএ/এএমএ