একদিনে ৪০ হাজার বাইক ও গাড়ি তল্লাশি, বন্দুক-গুলি উদ্ধার
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্টদের দমনে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে একদিনে ৪০ হাজারের বেশি যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাহাদাত হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজার ৩৯৮ জনকে। এছাড়া মামলা ও ওয়ারেন্ট মূলে ৫২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানিক কার্যক্রমে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য উদ্দেশ্য সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়, রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) ইউনিটের চন্দ্রিমা থানা চেকপোস্ট চলাকালীন তাজা বুলেট একটি ও ফায়ারকৃত গুলি একটি উদ্ধার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানা একটি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র (কিলার গিয়ার), তিনটি ছোরা ও একটি সামুরাই উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সাতকানিয়া থানা চেকপোস্ট চলাকালীন একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে। এছাড়াও টেকনাফ থানা একটি ওয়ান শুটার গান ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার থানায় ৯টি ককটেল বোমা সাদৃশ্য বস্তু, পিস্তলের একটি গুলি ও রাইফেলের একটি গুলি উদ্ধার করে। ফরিদপুর জেলায় তিনটি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়। বগুড়া জেলায় চেকপোস্ট চলার সময়ে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানা পুলিশ চেকপোস্ট চলার সময়ে দুটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করে। এ নিয়ে মোট একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান, একটি বন্দুক, তিনটি রাউন্ড গুলি, ফায়ারকৃত একটি গুলি, তিনটি কার্তুজ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র ও ২২টি ককটেল উদ্ধার করে।
এছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ হাজার ৬৩০টি মোটরসাইকেল ও ১৯ হাজার ৯৪টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
কেআর/এমএমএআর/এমএস