তামাক আইনে ৬ পরিবর্তন
বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধন করে এরমধ্যে ৬টি বড় পরিবর্তনসহ ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন করেছে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ইতিমধ্যে এই অধ্যাদেশ অনুমোদন হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তামাক ব্যবহার ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। অকাল মৃত্যু ঠেকাতে দেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য তামাক আইনটিকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রস্তাবিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ উত্থাপন করেছে। এটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। অধ্যাদেশ জারির লক্ষ্যে অবিলম্বে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং গ্রহণ করতে হবে।
নতুন অধ্যাদেশে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে
১. ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস—যেমন ই-সিগারেট (e-cigarette) বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (HTP) ইত্যাদির ব্যবহার, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. ‘তামাকজাত দ্রব্য’এর সংজ্ঞার আওতায় নিকোটিন পাউচ (Nicotine Pouch) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৩. পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের পাশাপাশি সব প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (Designated Smoking Area-DSA) রাখার বিধান সরকারের নির্দেশনার শর্তাধীন করা হয়েছে।
৪. ‘পাবলিক প্লেস’ ও ‘পাবলিক পরিবহন’ এর সংজ্ঞা ও অধিক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
৫. বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনসহ ইন্টারনেট বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের সব প্রকার বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রসার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৬. তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের গায়ে বিদ্যমান ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৭৫ শতাংশ এলাকা জুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী মুদ্রণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
এসইউজে/এমএমকে/জেআইএম