রোববার থেকে শুরু ১০ টাকায় চাল বিক্রি, পাওয়া যাবে ২ স্থানে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ছুটির মধ্যে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তার জন্য খোলা বাজারে (ওএমএস) ১০ টাকা কেজি দরে রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে।

প্রথম দিন রাজধানীর দুটি স্থানে এই বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

শনিবার (৪ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, রোববার এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের দুটি কেন্দ্র দিয়ে শুরু হবে। এর মধ্যে একটি হলো মিরপুরের ৭ নং ওয়ার্ডের শিয়ালবাড়ীর রূপনগর ঝিলপাড় বস্তি, অন্যটি মহাখালীর সাততলা বস্তি এলাকা।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাল (রোববার) থেকে রাজধানীতে ওএমএসে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হবে। শিগগিরই এটি উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরে মোট ৭৩টি বস্তি আছে। এই বস্তিগুলোতে ৩৯ হাজার ১৮০টি পরিবার আছে। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ।

ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, এরা কেউ সরকারের খাদ্য সহায়তা পায়নি। ঢাকা মহানগরে ওএমএস ডিলার কেন্দ্রের সংখ্যা ১২০টি। এই ডিলারদের তালিকা থেকে ২৪ জন ডিলার বাছাই করে সপ্তাহে ৩ দিন পর্যায়ক্রমে ৭৩ বস্তি বা ৩৯ হাজার ১৮০টি পরিবারের কাছে ওএমএসে ৫ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হবে। এই সকল কেন্দ্রে কোনো আটা বিক্রয় করা হবে না।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ কার্যক্রম ঢাকা জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় বা খাদ্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা রেশনিং ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি চলবে।

বর্তমানে দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কার্যক্রমে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি শনিবার থেকে যথারীতি ৯৬টি কেন্দ্রে ওএমএসে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি হবে। সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আটা বিক্রির কার্যক্রম চলবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম ধাপে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। এ সময়ে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

আরএমএম/এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।