অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া রাশিয়া বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা জানতে চেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, অক্সফোর্ডের গবেষকদের ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চুক্তি হয়েছে। সরকারিভাবেও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা জানতে চেয়েছে। দেশের কয়েকটি কোম্পানির সেই সক্ষমতা আছে। আমরা রাশিয়ায় চিঠি পাঠিয়েছি, ভ্যাকসিনের বিষয়ে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতও কথা বলেছেন। চিঠি দূতাবাসের মাধ্যমে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রাশিয়া ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে কোনো আভাস দিয়েছে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়া জিটুজি পদ্ধতিতে (সরকার থেকে সরকার) দিতে চায়, তারা বলেছে বাংলাদেশে যদি ভ্যাকসিন তৈরি করার ফ্যাসিলিটি (সুযোগ) থাকে তাহলে তারা এদেশেও তৈরির জন্য অনুমোদন দিতে পারে।
চীন ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের আবেদন করেনি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ দেশে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এ বিষয়টি এখনো বলেনি। আমরা অপেক্ষা করছি অক্সফোর্ডের কী কী জানার আছে বাংলাদেশের কাছে, আরও বিশদ জানতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চায়। তারা সফলতার সাথে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছে, কিন্তু আবার তাদের সংক্রমণ দেখা গেছে বড় আকারে। তারা আমাদের বেশ কয়েকটি পিসিআর মেশিন ও কিট দেবে বলে চিঠি দিয়েছে। কিছুদিন আগে সরকার যে অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদন করেছে সেই অ্যান্টিজেন টেস্ট বিষয়ে সাহায্য করবে তারা এবং সাত লাখ ডলারের কিট আমাদের দেবে, যা কিছু দিনের মধ্যে আমাদের হাতে আসবে। অ্যান্টিজেন কিট আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, কোরিয়ার ওই কিট পেলেও টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। কোরিয়ায় অ্যান্টিবডি টেস্ট করে না বলেও তারাও জানিয়েছে।
এমইউএইচ/এইচএ/জেআইএম