করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে, কম ময়মনসিংহে
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ ও নারী চারজন।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭৫৯ জনে। এ পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া চার হাজার ৭৫৯ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৭০৮ জন (৭৭.৯২ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৫১ জন (২২.০৮ শতাংশ)।
দেশের আট বিভাগে করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক দুই হাজার ৩১২ জন (৪৮.৫৮ শতাংশ) ঢাকা বিভাগে ও সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ বিভাগে ১০২ জন (২.১৪ শতাংশ)।
অন্যান্য বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার পাঁচজন (২১.১২ শতাংশ), রাজশাহীতে ৩২১ জন (৬.৭৫ শতাংশ), খুলনায় ৪০১ (৮.৪৩ শতাংশ), বরিশালে ১৮০ (৩.৭৮ শতাংশ), সিলেটে ২১২ জন (৪.৪৫ শতাংশ) এবং রংপুরে ২২৬ জন (৪.৭৫ শতাংশ) জন মারা যান।
উল্লেখ্য, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ ও নারী চারজন। হাসপাতালে ২৫ জন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৭৫৯ জনে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে দুইজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৮৪৭টি নমুনা সংগ্রহ হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ২১৬টি। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৮১২ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৬টি।
এমইউ/বিএ/এমএস