চকলেটের সঙ্গে শিশুদের মাস্কও দিলেন সান্তা ক্লজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন করছেন। মহামারির বছরে এবার শিশুদের চকলেটের পাশাপাশি মাস্ক উপহার দিয়েছেন সান্তা ক্লজ।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর কাওরান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলে শিশুদের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন সান্তা ক্লজ। এ সময় তিনি শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির পাশাপাশি তাদেরকে মাস্কও পরিয়ে দেন। এসময় সান্তা ক্লজ প্রার্থনা করেন, ঈশ্বর কৃপায় করোনা একদিন দূর হয়ে যাবে।

santa-cl-2.jpg

বড়দিন উদযাপন করতে অভিজাত শ্রেণির খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা পরিবার নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও সোনারগাঁও হোটেলে এসেছেন। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় করোনার কারণে এবার অভিজাত হোটেলটিতে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম। স্বাভাবিকভাবে শিশুদের উপস্থিতিও কম। ২০ থেকে ২৫ জন শিশু এবার সান্তা ক্লজের উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

সান্তা ক্লজ পশ্চিমা সংস্কৃতির একটি কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি সেইন্ট নিকোলাস, ফাদার খ্রিষ্টমাস, ক্রিস ক্রিঙ্গল বা সাধারণভাবে ‘সান্তা’ নামে পরিচিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি খ্রিস্টমাস ইভ বা ২৪ ডিসেম্বর তারিখের সন্ধ্যায় ও মধ্যরাতে অথবা ফিস্ট ডে বা ৬ ডিসেম্বর ভালো ছেলেমেয়েদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাদের উপহার দিয়ে যান।

santa-cl-1.jpg

এদিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণীর গির্জায় খ্রিস্টযোগে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের নব অভিষিক্ত আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রজ ওএমআই বলেন, ‘সবাইকে শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, তার একমাত্র পুত্রকে (যিশু), আমাদের মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে জাগতে পাঠিয়েছেন। তিনি (যিশু) দেহ ধারণ করে মানুষ হয়েছেন আমাদের মুক্তির জন্য। আজ এমন এক মুহূর্তে আমরা বড়দিন উদযাপন করছি, যখন সারাবিশ্ব করোনার সংক্রমণে শঙ্কিত। এজন্য আমরা প্রার্থনা করি- যাতে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পান। মানুষ করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে মুক্তি লাভ করে। যাতে আমরা সুখে-শান্তিতে একাত্মতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করতে পারি।’

পিডি/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।