সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গণপরিবহন চালুর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
চলমান লকডাউন (বিধিনিষেধ) শেষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে আগের ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী পদ্ধতিতে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, এর আগে দুই দফা লকডাউনের পর গণপরিবহন চালু করা হলেও সিংহভাগ গণপরিবহন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেনি। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করেও অধিকাংশ গণপরিবহনে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী বহন করা হয়েছে। ৯০ শতাংশের বেশি গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী বহন করে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায় করলেও সরকার কার্যত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে এই বর্ধিত গণপরিবহন ভাড়া করোনা সংকটে কর্মহীন, আয়-রোজগারহীন দিশেহারা সাধারণ মানুষের মরার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এমন বাস্তবতা সামনে রেখে এবার গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলে গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও বেড়ে যাবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, গণপরিবহনে বেশিরভাগ সময় চালক-হেলপার দুজনে গণপরিবহন পরিচালনার কারণে এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি। কেননা চালক গাড়ি চালানো ও হেলপার যাত্রী উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ যেমন- বাসে উঠার সময় যাত্রীর হাতে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার দেয়া, মাস্কবিহীন যাত্রী উঠছে কি-না পর্যবেক্ষণ করা, কিছুক্ষণ পরপর যাত্রী উঠা-নামার হ্যান্ডেল বা হাতল স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামার পর খালি সিট স্যানিটাইজ করা, প্রতিটি বাস ছাড়ার পূর্বে সবকটি আসন স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামানোর পর সবকটি আসন পুনরায় স্যানিটাইজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
করোনার ভয়াবহ এই সংকটকালে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এসএম/এআরএ/জিকেএস