বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ২৩ জুন ২০২১

বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার টিকার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত আছে। আমাদের যদি টিকা উৎপাদন চেইনে নেয়া হয়, আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে পারবো।’

বুধবার (২৩ জুন) তিন দিনব্যাপী নবম মস্কো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কোভিড-১৯ মহামারি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এটি বিশ্বের অন্যতম বড় সমস্যা। এটি শুধু লাখ লাখ জীবনই নেয়নি, অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে এবং সারাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এ মহামারিবিরোধী লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে।’

যে কোনো মূল্যে দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য সব উৎস থেকে সরকার টিকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।’

কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘চার বছরের বেশি সময় ধরে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১ দশমিক ১ মিলিয়নের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে আসছি আমরা। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের আশ্রয় দিয়েছি।’

‘কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে এখানে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ করবো, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতে সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে আমাদের সহায়তা করুন।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্ব সম্প্রদায়কে কোভিড-১৯ যুদ্ধে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত, অসহায় মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা, রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও অর্থসহায়তা বন্ধ করা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামরিক সংস্থারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসইউজে/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।