শাহজালালে ৩-৬ দিনের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গামী যাত্রীদের করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনে সাতটি ল্যাবরেটরিকে নির্বাচিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সরোয়ার জীবন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিদেশগামী কর্মী-যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্বল্পতম সময়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ল্যাবরেটরিগুলো হলো- স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল (প্রাইভেট) লিমিটেড, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক। এ প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী তিন থেকে ছয়দিনের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপন করবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে এ সাতটি ল্যাবরেটরির মধ্যে স্টেমজ হেলথকেয়ারে নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার টাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারে এক হাজার ৮৫০ টাকা, এএমজেড হাসপাতালে এক হাজার ৮০০ টাকা, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই হাজার টাকা, জয়নুল হক সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এক হাজার ৭০০ টাকা, গুলশান ক্লিনিকে এক হাজার ৭৫০ টাকা ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকে দুই হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ যাত্রা শুরুর চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা সার্টিফিকেট ছাড়া সে দেশে প্রবেশ করতে দেয় না। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীকর্মীদের সমস্যায় পড়তে হয়।
এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে এলে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের সভায় দ্রুততম সময়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়।
এমইউ/বিএ/জিকেএস