বাস-ট্রেন-লঞ্চে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের আহ্বান জাতীয় কমিটির
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহনের নামে ভাড়া নৈরাজ্য ও সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ঠেকাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কঠোর অবস্থানে থাকারও আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ আহ্বান জানান।
এতে বলা হয়, নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহনে ১৩ জানুয়ারি থেকে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন এবং মাস্ক পরার নির্দেশনা জারি করেছে। এছাড়া চালক ও চালকের সহকারীসহ সব পরিবহনকর্মীকে দুই ডোজ করোনা টিকা নিতে হবে বলে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে। কিন্তু নিকট অতীতে দেখা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে সরকার এমন নির্দেশনা দিলেও সব ধরনের গণপরিবহনই অতিরিক্ত (৫০ শতাংশের বেশি) যাত্রী বহন করেছে। এমনকি, মাস্কবিহীন যাত্রীদেরও বহন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে বাস ও টেম্পোতে অর্ধেক যাত্রী বহনের নামে পরিবহনকর্মীরা ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া আদায় করেছেন। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম আর্থিক খেসারত দেওয়ার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ধরন) পাশাপাশি এবার অতিদ্রুত সংক্রমণশীল ওমিক্রন ধরনও বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে অতীতের চেয়ে এবার অধিকতর সতর্কতা অপরিহার্য। সুতরাং এ বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় কমিটির নেতারা।
এইচএস/এমএএইচ/এমএস