‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সর্বশেষ প্রতিবেদনকে ‘একপেশে, অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, এটি পড়ে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হয়তো কেউ ড্রাফট করে দিয়েছে। তারা (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) তা পরিমার্জন করে প্রকাশ করেছে মাত্র, এর বেশি কিছু নয়।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সংগঠন থাকা অবশ্যই ভালো। কিন্তু বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থ রক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে ব্যবহার করা, বিবৃতি দেওয়া সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে।

তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিটি আমি দেখেছি। এটি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়, একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে উল্লিখিত নির্দিষ্ট দু'তিনটি বিষয় ছাড়া মানবাধিকার নিয়ে তাদের আর কিছু জানা আছে বলে মনে হয় না। একজন লেখক ও রেইনট্রি হোটেল নিয়ে কিছু ব্যক্তিবিশেষ বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রায়ই যা বলে থাকেন, বিবৃতিতে সেগুলোই আছে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে দেশে বসে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়। সেসবের দিকে নজর দিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতি অনুরোধ জানান ড. হাছান মাহমুদ।

‘সরকার ওমিক্রন প্রতিরোধের নামে বিএনপি দমনে বেশি সচেষ্ট’- বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে শুধু বিএনপির সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়নি, আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের জন্যই তা প্রযোজ্য। এখন বিএনপি ওমিক্রন প্রতিরোধ না করে ওমিক্রন বেশি ছড়াতে চায় কিনা, সেটিই প্রশ্ন।

এর আগে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে যুক্ত হন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা এবং বিনাবিচারে শতশত সামরিক সদস্যদের ফাঁসি এদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

কমিশনের রাঙ্গুনিয়া শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ কে এম মুছার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব মো. শাহজাহান শিকদার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

আইএইচআর/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।