নামজারি আবেদন অনলাইনে নিয়মিত ট্র্যাকিং করা হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, নামজারি আবেদন সিস্টেম অনলাইনে নিয়মিত ‘ট্র্যাকিং’ (পর্যবেক্ষণ) করা হচ্ছে। কোনো আবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে নামজারি সংক্রান্ত জটিলতা এখন বহুলাংশে কমে এসেছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স’ ও ‘সমুন্নয়’র উদ্যোগে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘ভূমি বিষয়ক আইন ও নীতি: চরাঞ্চলের বাস্তবতা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জরিপ সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হলে ভূমিবিষয়ক মামলা মোকদ্দমা বহুলাংশে কমে যাবে। এজন্য সরকার ডিজিটাল জরিপের উদ্যোগ নিয়েছে। অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধের আওতায় এনে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১’-এর খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করে মতামতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভূমিদস্যুতা রোধে এ আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর বিস্তৃতি সমগ্র দেশব্যাপী। কিছু দপ্তরে আকস্মিক পরিদর্শনে হয়তো কিছু সময়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে পরিস্থিতির উন্নয়ন হ্য়; তবে সার্বিকভাবে দীর্ঘমেয়াদে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়ে না। এজন্য আমরা টেকসই সিস্টেম উন্নয়নে জোর দিয়েছি। সিস্টেম উন্নয়ন হয়ে গেলে সিস্টেমের কারণেই দুর্নীতির সুযোগ কমে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চরাঞ্চলে একজনের উৎপাদিত ফসল অন্যজন জোর করে নিয়ে নেওয়ারঘটনা ঘটছে, যা অমানবিক ও অন্যায়। এ অন্যায় প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স’ ও ‘সমুন্নয়’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
সংলাপের আয়োজকদের গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশের আট হাজার ৩১৫ বর্গকিলোমিটার চরভূমিতে বসবাস করছে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ। সরকারের উদ্যোগ ও নীতির কারণে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডে বিগত ১০-১২ বছরে চরের জীবনমানের উন্নয়ন বিকাশে আলাদা গতি পেয়েছে।
সংলাপে অংশ নেন ভূমি এবং চরাঞ্চলের মানুষ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নেতারা, চরাঞ্চলের বসবাসরত জনমানুষের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজন।
আইএইচআর/এএএইচ