অনলাইনে আর্নিংয়ের নামে শত কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ

অনলাইনে আর্নিং প্ল্যাটফর্ম খুলে একটি চক্র শতকোটি টাকা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে এক দল ভুক্তভোগী।
সোমবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চক্রটিকে আটক ও বিচার দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অনলাইন উদ্যোক্তা পরিচয় দেওয়া তৌফিক হাসান প্রতিক নামে এক ব্যক্তি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে সিলেজ নামের একটি অ্যাপসের প্রচারণা করেন। তিনি মূলত বাংলাদেশে বসে এটি নিয়ন্ত্রণ করলেও একটি (+447897 042919) বিদেশি নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভেরিফাই করে এর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতেন।
তারা বলেন, প্রায় তিন মাস প্রতারকরা সদস্য সংখ্যা সংগ্রহ করে। অনেকেই সেখান থেকে কিছু টাকা ইনকামও করেন। এভাবে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের পর ওই অনলাইন আর্নিং অ্যাপসে সদস্য সংখ্যা ও টাকা ইনভেস্টের পরিমাণ অনেক বেশি হলে হঠাৎ ২৭ জুন তাদের কার্যক্রম পরিবর্তন হয়ে যায়। আমাদেরকে অনলাইনে প্রডাক্ট বিজনেস করার কথা বলে টাকা ইনভেস্ট করতে বলেন।
তার কথায় বিশ্বাস করে অনেকেই নগদ একাউন্ট (01834359084, 01315612002, 01323883985, 01759806856, 01834359518, 01716363538, 01715767729) ও ব্যাংক একাউন্টে (20506830100032312 ইসলামি ব্যাংকের চুকনগর শাখা, 20501110207055412) সারা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাঠায় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পণ্য অর্ডার করতে টাকা পাঠানোর ১৫ দিন পরে প্রডাক্ট হাতে পৌঁছে দিবে এমন কথা ছিলো। কিন্তু প্রায় একমাস হয়ে গেলেও কোনো পণ্য হাতে আসেনি। যারা পেয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই সিলেজের নির্দিষ্ট কিছু দালাল। এর পর তারা পণ্য দিবে, আবার টাকা ফেরত দিবে এমন আশ্বাস দিলেও কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
তারা আরও বলেন, তৌফিক হাসান প্রতিক এই অ্যাপসের প্রধান এডমিন। তার সঙ্গে আছে শুভ নামের একজনসহ আরও বেশ কয়েকজন দালাল। যারা সদস্য সংগ্রহ করতো।
মানববন্ধনে গোলাম রব্বানি, দীপু, শিমুল, রিয়াদ, আসিফ, জিসানসহ অন্তত ১০০ ভুক্তভোগী অংশ নেন।
এমআইএস/জেএস/জিকেএস