চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড় প্রহসনের শামিল

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এম এ আলী বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত। স্থায়ীভাবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি না করে বয়সের প্যাকেজ, বয়সের ছাড় নামক হাস্যকর অফারগুলোতে চাকরিপ্রার্থীরা কতটুকু উপকৃত হয়েছে? চাকরিতে আবেদন বয়সসীমা ৩৯ মাস কমানো প্রহসনের শামিল।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের মুখপাত্র মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা ছিল ২৭ বছর। ১৯৯১ সালে যখন ৫০ ছাড়ালো তখন প্রবেশের বয়স ৩০ করা হয়েছিল। এখন আমাদের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছর, তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হওয়া উচিত? গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে চাকরিতে অবসরের সীমা ২০১১ সালে ৫৭-৫৯ করা হলো কিন্তু, প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলো না কেন? এটা সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে অবিচার নয় কি?
তিনি আরও বলেন, জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং অনার্সের পরিধি বাড়ানোর কারণে নন-পিএসসির ক্ষেত্রে আবেদনের যোগ্যতা অর্জনের বয়স ১৮ বছর এবং বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে ২১ বছর, এই আইন দুইটি অনেক আগেই যোগ্যতা হারিয়েছে। যদি এটি বাতিল করা হয় চাকরিতে প্রবেশের বয়স এমনিতেই বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. আল কাওছার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, জুডিশিয়ারি ও ডাক্তাররা ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরিতে আবেদন করতে পারে। নার্সদের ৩৬ বছর এবং বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ ও পার্বত্য তিন জেলায় ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারে। তাহলে আমরা কি অপরাধ করলাম আমরাই কেন শুধু বৈষ্যম্যের শিকার হবো। অবিলম্বে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানাচ্ছি।
তারা জানান, বয়স বৃদ্ধির দাবিটি যৌক্তিকতার বিচারে এবং দেশব্যাপী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসনের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ৫ বার সুপারিশ করে। নবম জাতীয় সংসদ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত প্রায় ১০০ বারের বেশি বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপিত হয়। পাঁচবার মহান সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাব পেশ করা হয়। চারবার সংসদে কণ্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বয়স বৃদ্ধির দাবিটি রেখেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বিক্ষোভে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিনিধি আলমগীর বাইসারি, ইউসুফ জামিল, নাসিম, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম প্রমুখ।
এমআইএস/জেএইচ/এএসএম