মানসম্মত শিক্ষাই হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়ন : শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একমাত্র মানসম্মত শিক্ষাই হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, সর্বোপরি গভীর দেশপ্রেম জাগ্রত করার একমাত্র সোপান মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এ বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ এর ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন, এআইইউবি কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা দেশে ও বিদেশে তাদের চলার পথে অনেক সহায়ক হবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগসহ পারিবারিক জীবনে সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত- এমন মানব সম্পদ তৈরি করা যারা নিজস্ব সংস্কৃতিক চেতনায় লালিত হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইন ২০১০ অনুযায়ী সবাই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।

নাহিদ বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমজীবী কর্মীরা বর্তমানে যে বিদেশি মুদ্রা দেশে প্রেরণ করছেন তার দ্বিগুণ হতে পারে যদি আমরা ভাল শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারি। আমাদের জনশক্তিই বড় সম্পদ। এদের দক্ষভাবে কাজে লাগানোই আমাদের গুরুত্ব দায়িত্ব।

নবীন গ্র্যাজুয়েটদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, আজকের দিনটি অত্যন্ত গর্বের ও খুশির দিন বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও শিক্ষকদের জন্য। কোন জাতির উন্নয়নের সিড়ি নির্ভর করে শিক্ষা ও গবেষণার উপর। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও অঙ্গীকার বাস্তবায়িত করতে হলে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞান প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্বদান ও এর মান নিশ্চিতকরণ অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে সেভাবে তাদের পাঠ্যক্রম সাজিয়ে নিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এআইইউবি তাদের কর্মকাণ্ডে অনুরূপ ভূমিকা রাখছে তাতে তিনি আনন্দিত।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। সমাবর্তন বক্তা হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্ক দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মিস হানি ফাগ্লু এসকেজেয়ার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এআইইউবি-এর ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন, ভাইস চ্যান্সেলার ড. কারমেন জেড ল্যামাগনা প্রমুখ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ২ হাজার ৫১৭ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীকে ডিগ্রী দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা ও সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।

এনএম/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।